দিল্লি, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম ) : আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের অষ্টম আসর। বিশ^কাপকে সামনে রেখে নিজেদের পরিকল্পনা এখন থেকেই কষছে দলগুলো। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরু করছে টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর দল ভারত। কারন গত মাসেই শেষ হলো প্রায় দুই মাস ধরে চলা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পঞ্চদশ আসর। আবার এ মাসেই আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। তাই দলের সিনিয়র ক্রিকেটার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সামিদের বিশ্রাম দিয়েছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দিবেন লোকেশ রাহুল। দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিক। এছাড়াও প্রথমবারের মত জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন দুই পেসার উমরান মালিক ও আরশদীপ সিং। আইপিএলের পারফরমেন্স বিবেচনায় দলে ফেরানো হয়েছে পান্ডিয়া ও কার্তিককে। তরুণদের মিশেলে গঠিত দল নিয়ে ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘যারাই খেলুক, শুরুটা ভাল করতে হবে। স্ট্রাইক রেট ঠিক রাখলে বড় রান করা সম্ভব। কোনও কোনও উইকেট কঠিন হতে পারে। সেখানে বুঝে শুনে খেলতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যে যা ভূমিকা পালন করে, এখানে তা কিছুটা আলাদা। তবে আমার আশা, প্রত্যেকেই দলের প্রয়োজনে নিজেকে উজার করে দিবে।’ করেনাভাইরাসের কারনে দু’বছরের বেশি সময় ধরে জৈব সুরক্ষা-বলয়ের মধ্যে থেকে খেলতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে এই সিরিজে কোনো জৈব সুরক্ষা-বলয় রাখেনি বিসিসিআই। এতে খুশি ভারতের উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ। তিনি বলেন, ‘জৈব বলয়ের বাইরে থাকতে পারবো ভেবে ভাল লাগছে। আশা করবো ভবিষ্যতে এই বলয়ের মধ্যে থাকতে হবে না। প্রচন্ড কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। এবার স্বস্তির নিঃশ^াস সকলের জন্য।’ সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই অংশ নিয়েছিলেন। তাই আইপিএল থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ভারতের বিপক্ষে সিরিজে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা প্রোটিয়াদের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডেভিড মিলার। প্রথম আসরেই গুজরাট টাইটান্সের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিলো তার। আইপিএলে মোট ৪৮১ রান করেছেন তিনি। শেষ চার ম্যাচে গুজরাটের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন মিলার। তিনি বলেন, ‘নিজের খেলা এখন অনেক ভাল বুঝতে পারছি। আমার কাঁধে কোনও বাড়তি চাপ নেই। সব আন্তর্জাতিক ম্যাচই চাপ নিয়ে খেলতে হয়। সিনিয়র, জুনিয়র সকলের চাপ থাকে। অভিজ্ঞতা চাপ সামলাতে সাহায্য করে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা বলেন, ‘মিলার ছন্দে থাকলে দলের জন্য চিন্তামুক্ত। আইপিএলে তার যা পারফরমেন্স, তা দলকে আত্মবিশ্বাস দিবে। ভারতের খেলার যে অভিজ্ঞতা আছে, তা দলের কাজে লাগবে।’ মিলার ছাড়াও আইপিএলে খেলেছিলেন কুইন্টন ডি কক, কাগিসো রাবাদা, আইডেন মার্করামরা। লক্ষেèৗ সুপার জায়ান্টসের হয়ে ৫০৮ রান করেন ডি কক। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ৩৮১ রান করেন মার্করাম। বল হাতে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ২৩ উইকেট নেন রাবাদা। ২০১৯ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজটি ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল।